তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা

EIIN Number : 108522

Top of Form

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

তেজগাঁও পলিটেকনিক  হাই স্কুল থেকে তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এর সাথে আরেকটি নাম আরেকটি ব্যঞ্জনা জনাব নূর মোহাম্মদ। যুগে যুগে যাদের পদধুলিতে ধন্য এদেশ তিনি তাদেরই একজন। এ বিদ্যালয়ের কথা লিখার আগে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয় এ মহান  ব্যক্তিত্বকে।

আরও স্মরণ করতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ লুৎফর রহমান-কে যিনি ১৯৬৯ সালে এ বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাস করেছিলেন। লুৎফর রহমানসহ এ বিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্র যাদের রক্ত ও সাহসিকতার বিনিময়ে আজ এদেশ স্বাধীন তাদের সবাইকে সশ্রদ্ধ সালাম।

তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুল। বেড়ার ঘর, মাটির মেঝে, শিকবিহীন জানালা, কাঠের টুল। তবুও বাংলাদেশের সেরা প্রতিষ্ঠান। ষাট এর দশকে এমন কোনো বৎসর খুঁজে পাওয়া যাবে না যে বৎসর এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পায় নাই। আর আন্তঃস্কুল ফুটবলে প্রতিবছর চ্যাম্পিয়ন। ১৯৭৮ সালে এ বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্র সেরা স্কাউটের মর্যাদা লাভ করে।

তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৮১ সালে এর জাতীয়করণ হলেও ১৯3৫ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু। তখন একজন প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের অধীনে তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুলের বালক ও বালিকা শাখা চলতো। ১৯৫৫ সালে স্কুলের জন্য ভাওয়াল রাজার দানকৃত ২২ বিঘা জমি কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তৎকালীন সরকার হুকুম দখল করে নেয়। স্কুল নেই, আছে শুধু কয়েকজন ছাত্র, ম্যানেজিং কমিটি এবং কয়েকজন শিক্ষক। বিদ্যালয়ের এ ক্রান্তিলগ্নে ভাসমান নাম সর্বস্ব স্কুলটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জনাব নূর মোহাম্মদ। তিনি বিভিন্ন জায়গায় স্কুলের একটু জায়গার জন্য ধর্ণা দিতে শুরু করলেন। একাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন মরহুম ডা. টি আহম্মদ এবং মরহুম দোহা। পাকিস্তানের তৎকালীন স্পিকার মরহুম তমিজউদ্দিন খানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবশেষে তিনি পি.আই এর খালি জায়গায় স্কুল করার অনুমতি পেলেন। কিছুদিন পর আজম খান পাকিস্তানের গভর্নর হলে স্কুলের মাথায় নেমে আসে এক মহাবিপদ সংকেত। ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া ছিল স্কুল সরিয়ে নিতে। তিনি আবারও ছুটলেন স্কুলটিকে বাঁচানোর জন্য। এসময় আবার পাশে এসে দাঁড়ালেন তমিজ উদ্দিন খান সাহেব। তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা গভর্নরকে বোঝাতে সক্ষম হলেন। বেঁচে গেল স্কুল। এর সাথে তৎকালীন জেনারেল ওমরাও খানের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হয়। সেই থেকে শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে গেছে স্কুল, স্কুলের অবস্থান সম্পর্কে আর কাউকে ভাবতে হয়নি। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রভাতি শিফটে বালিকাদের এবং দিবা শিফটে বালকদের পাঠদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
Related Topics