সম্মানিত অভিভাবক/অভিভাবিকাদের প্রতি পরামর্শ
- আপনার মোবাইল নম্বরটি সচল রাখুন এবং বিদ্যালয়ের এসএমএস
নিয়মিত চেক করুন। মোবাইল নম্বর পরিবর্তন
হলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতিভাবে
অবহিত করুন।
- প্রকৃত অভিভাবক/অভিভাবিকা বিদ্যালয়ের ডায়েরিতে নিজের পরিচিতি ও
নমুনা স্বাক্ষর দেবেন। পিতা-মাতা জীবিত/উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় গৃহশিক্ষক, চাচা,
মামা, বড় ভাইকে অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া
হয়। পিতা-মাতাই ছাত্র/ছাত্রীদের প্রকৃত
অভিভাবক।
- প্রতিদিন আপনার ছেলে/মেয়ে বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পর সেদিন শ্রেণিতে শিক্ষক কোন পিরিয়ডে
কী বিষয়ে পড়িয়েছেন তা দেখে ছেলে/মেয়েদের উপস্থিতি ও পাঠসমূহ
সম্বন্ধে নিশ্চিত হন এবং ঐ দিনের কার্যক্রম বিবরণী পৃষ্ঠার নিচে আপনার জন্য সংরক্ষিত
স্থানে স্বাক্ষর করুন। যদি মন্তব্য করার কিছু থাকে তবে মন্তব্যের ঘরে লিখুন।
- আপনার ছেলে/মেয়ে বিদ্যালয় এর কার্যদিবসে ঠিক সময়ে স্কুলে আসে কিনা এবং ছুটির পরে
বাসায় ঠিক সময়ে ফেরে কিনা এবং বাসায় যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ নিয়মিত লেখাপড়া করে কিনা
তা নিজেই লক্ষ্য রাখুন।
- সাময়িক ও শ্রেণি পরীক্ষাগুলোতে আপনার ছেলে/মেয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকছে কিনা সেদিকে খেয়াল
রাখুন। কারণ শ্রেণি পরীক্ষা সাময়িক পরীক্ষারই অংশ।
- বিদ্যালয়ের ডায়েরিতে “ছাত্র/ছাত্রীদের আচরণ-বিধি” অভিভাবক
অবশ্যই পাঠ করবেন এবং সে অনুসারে তাকে চলতে নির্দেশ দিবেন ও সাহায্য করবেন।
- ছাত্র/ছাত্রীদের
লেখাপড়া ও চারিত্রিক উন্নতি সম্পর্কে জানার জন্য প্রকৃত অভিভাবক অবশ্যই শ্রেণি
শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
- ছাত্র/ছাত্রীদের
সম্পর্কে যে কোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য পত্র/বার্তা পাওয়ার
পর নির্ধারিত দিনে ও সময়ে অভিভাবক শ্রেণি শিক্ষক, সহকারী
প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করবেন।
- কোনো ছাত্র/ছাত্রী অসুস্থতার কারণে স্কুলে আসতে না পারলে অতি-সত্ত্বর অভিভাবক একটি আবেদনপত্র শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের
কাছে জমা দিয়ে যাবেন এবং সুস্থ হলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটসহ
অভিভাবক তাকে স্কুলে নিয়ে আসবেন।
- বেতন আদায়ের তারিখে বিকাশ/রকেট/নগদ/এটিএম
কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত বেতন পরিশোধ করুন ।
- কোনো ছাত্র/ছাত্রী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে অন্য শ্রেণিতে তার ‘প্রমোশনের’ জন্য কোনো প্রকার তদবির করা চলবে না।
- অভিভাবক নিজে ছেলে/মেয়েকে স্কুলে পৌছে দেবেন এবং ছুটির পর ঠিক সময়ে নিয়ে যাবেন, বিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন না।
- আপনার ছেলে/মেয়ে/পোষ্যের পরিস্কার/পরিচ্ছন্নতা
ও স্বাস্থ্যের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন এবং খারাপ পরিবেশ ও কু-সঙ্গ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
- শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানস-পিতা এ কথা স্মরণ রেখে স্বীয় সন্তানের পাঠোন্নতি
ও চরিত্র গঠনের ব্যাপারে শিক্ষকদের স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবেন
এটাই একান্ত কাম্য।
- সন্তানের অনলাইন ক্লাসে আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন
ব্যবহার করতে দিন এবং ক্লাস শেষে অবশ্যই তা ফেরত নিন।
- আপনার সন্তানকে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন এবং যাতে বাইরের
খোলা খাবার না খায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- আপনার সন্তানকে বিদ্যালয়ের সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে
অংশগ্রহণে উৎসাহ দিন।
- মনে রাখতে হবে, অভিভাবক ও শিক্ষক/শিক্ষিকার সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে ছাত্র/ছাত্রীর পাঠোন্নতি ও সুন্দর চরিত্র গঠন সম্ভব।